রাজশাহীতে করোনাভাইরাসের (কোভিড ১৯) দ্রুত বৃদ্ধির কারণে বুধবার (১৯ জানুয়ারি) এই জেলাকে ‘রেডজোন’ ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই ঘোষণার একদিন যেতে না যেতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ল্যাবে একদিনে ১৪৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪০ দশমিক ১৬ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেকের দুই ল্যাবে ৩৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৪৯ জনের শরীরে করোনার জীবাণুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। গত কয়েক মাসের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ সংক্রমণ। হঠাৎ করেই এই সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্যদিকে এদিন চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
রামেক প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, রামেক হাসপাতালের আরটিপিসিআর ল্যাবে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫২ জনের করোনা ধরা পড়ে। অন্যদিকে মেডিকেল কলেজের ল্যাবে মোট ২৮১টি নমুনা পরীক্ষায় ৯৭ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। ৯৭ জনই রাজশাহী জেলার বাসিন্দা। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৪০ দশমিক ১৬ শতাংশ।
বর্তমানে মোট ৪৩ জন রোগী হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়ে ভর্তি রয়েছেন ২৬ জন, সন্দেহজনক রোগীর সংখ্যা ১২ জন। এছাড়া ভর্তি রোগীদের ৫ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন সাতজন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনজন।
হঠাৎ সংক্রমণ বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রামেক হাসপাতালের পরিচালক বলেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। এছাড়া সারাবিশ্বে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ওমিক্রনে মানুষ দ্রুত আক্রান্ত হচ্ছে, তবে মৃত্যু হচ্ছে কম। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশেও হয়তো ওমিক্রন প্রবেশ করেছে। তা না হলে একসঙ্গে এত মানুষ আক্রান্ত হওয়ার কথা নয়। তবে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির জিনোম সিকোয়েন্স টেস্ট করা ছাড়া শনাক্ত ব্যক্তিরা ওমিক্রনে আক্রান্ত কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।