চীনের তৈরি সিনোফার্মের টিকার মজুদ শেষ হওয়ায় বগুড়ায় টিকার সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) থেকে বগুড়ার ৩টি কেন্দ্রে মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পুলিশ লাইনস হাসপাতাল কেন্দ্রে সিনোফার্মের টিকা প্রদান কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
তবে টিকা পাওয়া মাত্র আবার টিকা প্রদান শুরু হবে বলে জানা গেছে। কিন্তু কবে টিকা আসবে, তা জানা যায়নি।
এদিকে শহরের ৩টি কেন্দ্রের টিকা প্রদান বন্ধ থাকলেও জেলার উপজেলা পর্যায়ে যেসব স্থানে টিকার মজুদ রয়েছে, সেসব কেন্দ্রে আগের মতোই টিকা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এর আগে মজুদ ফুরিয়ে যাওয়ায় ১২ আগস্ট সিনোফার্মের টিকা প্রদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পরবর্তী সময়ে ১৩ আগস্ট ঢাকা থেকে নতুন করে ৩১ হাজার ২০০ ডোজ টিকা আসায় পর দিন ১৪ আগস্ট ও ১৬ আগস্ট টিকা প্রদান করা হয়।
তবে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। অবশ্য ওই টিকা শহরের মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল ও শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কেন্দ্রে দেওয়া হবে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বগুড়ায় মেডিক্যাল শিক্ষার্থী ও স্টাফদের ওপর প্রয়োগের মাধ্যমে গত ১৯ জুন সিনোফার্মের টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ১ জুলাই থেকে নির্দিষ্ট বয়সের সাধারণ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়। এ ছাড়া গত ৭ আগস্ট জেলার ১০৯টি ইউনিয়নের সবকটিতে এবং ১২টি পৌরসভার মধ্যে ২টিতে গণটিকা কার্যক্রম চালানো হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী বগুড়ায় ১৩ আগস্ট পর্যন্ত সিনোফার্মের মোট ২ লাখ ৩০ হাজার ৮০০ ডোজ টিকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে বগুড়া সদরেই ৫৫ হাজার ৪৯৭ জনকে টিকা প্রদান করা হয়েছে। জেলায় গণটিকা কর্মসূচিতে ৭১ হাজার ৪০০ মানুষকে টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তার আওতা বেড়ে যায়।
বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু জানান, চাহিদার তুলনায় টিকার মজুদ কমে আসায় মঙ্গলবার থেকে শহরের তিনটি কেন্দ্রে সিনোফার্মের প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রদান বন্ধ থাকবে।
তিনি বলেন, বরাদ্দ পেলে আবারও টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু করা হবে। তবে মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল ও শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কেন্দ্রে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, শহরের তিনটি কেন্দ্রে টিকা প্রদান কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও জেলার উপজেলা পর্যায়ে যেসব কেন্দ্রে টিকার সন্তোষজনক মজুদ রয়েছে, সেগুলোয় আগের মতোই সিনোফার্মের টিকা প্রদান কার্যক্রম চলবে।