কদিন পরেই শুরু হচ্ছে কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের ২২ তম আসর। এই আসরকে কেন্দ্র করে সারাদেশের মতো বগুড়াবাসীও মেতেছেন বিশ্বকাপ উন্মাদনায়। দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে উত্তেজনা। অধীর অপেক্ষায় দিন গুনছেন ফুটবলপ্রেমীরা। শহরের বিভিন্ন জায়গায় চলছে পতাকা বেচাকেনার হিড়িক। বিশেষ করে পতাকা তৈরিতে দিনরাত কঠোর পরিশ্রমে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। সেই সঙ্গে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের বিক্রিও বেড়েছে আগের তুলনায় অনেক বেশি। দোকানগুলোর সামনে প্রতিদিনই ভিড় লেগে থাকছে ফুটবল প্রেমীদের। প্রতি চার বছর পর বিশ্বকাপ ফুটবল উন্মাদনায় মেতে ওঠে দেশবাসী।
বিশ্বকাপ মৌসুম এলেই পথেঘাটে সর্বত্র দেখা মেলে পতাকার বাহার। কোথাও কোথাও যেন পুরো সড়কই চলে যায় পতাকার দখলে। ঘরবাড়িও এর বাইরে নয়। বাড়ির ছাদ বা পছন্দের দলের পতাকার রং শোভা পায় বাড়ির দেওয়ালে। বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, বগুড়া শহরের সাতমাথাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিশ্বকাপের অংশ নেওয়া বিভিন্ন দলের পতাকা বিক্রি করছে। এছাড়াও শহরের অলিতে গলিতে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে কিংবা পথে হেঁটে হেঁটে পতাকা বেঁধে বিক্রি করে চলছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। তবে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল দলের সমর্থক বেশি থাকায় এ দুই দেশের পতাকা বেশি বিক্রি হচ্ছে।
তবে জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি এবং পর্তুগালের পতাকা ও জার্সি বিক্রি হচ্ছে সমান তালে। শহরের সাতমাথা চত্বরে পতাকা বিক্রি করতে আসা মোতালেব আলী জানান, বিশ্বকাপ শুরু হওয়ায় এখন বাংলাদেশের পতাকা ৫০/১০০ টাকা, ব্রাজিল ২০০/৪০০ টাকা, আর্জেন্টিনা ২০০/৪০০ টাকা, জার্মানি ১৫০/২০০ টাকা, স্পেন ১৫০/২০০ টাকা ও পর্তুগালের পতাকা ১৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান ক্রেতাদের সুবিধার্থে চাহিদা মত বিভিন্ন সাইজের পতাকা তৈরির অর্ডার নিয়ে থাকি। পাশেই আরেক পতাকা বিক্রেতা মো. খোরশেদ আলম বলেন, পতাকা বিক্রি করে ব্যবসার মন্দা ভাবটা কাটিয়ে উঠছি। তবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা এই দুই দলের পতাকাই বেশি বিক্রি হচ্ছে। যদি ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনা সেমিফাইনাল কিংবা ফাইনালে যায় তাহলে পতাকা বিক্রি করে কুলাতে পারবো না। তখন সবাই পতাকা কিনবে।
কথা হয় পতাকা কিনতে আসা কলেজছাত্র রবিউলের সঙ্গে। তিনি বলেন আমি আর্জেন্টিনা দলের সমর্থক। আর্জেন্টিনা দলকে আমার ভালো লাগে। তাই আর্জেন্টিনাকে সাপোর্ট করি। এজন্যই আমার প্রিয় দল আর্জেন্টিনার পতাকা কিনতে এসেছি। বগুড়ার উপ-শহর এলাকার বাসিন্দা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বাসার মধ্যে উভয় সংকটে আছি। ছেলে আর্জেন্টিনা আর মেয়ে ব্রাজিলের সাপোর্টার। দুই দলেরই পতাকা কিনতে হয়েছে। একজনের সঙ্গে কথা বললে অন্যজন মনে করে আমি মনে হয় তার দলের সাপোর্টার।