বগুড়ায় প্রবল বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলায় যমুনা এবং বাঙালি নদীতে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার যমুনা নদীতে পানি বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পার্শ্ববর্তী বাঙালি নদীতেও পানি বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। বন্যার পানি নদী তীরবর্তী এলাকায় ঢুকে পড়ায় ৭৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তারা খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও গবাদিপশুর খাদ্য নিয়ে সংকটে পড়েছেন। অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে ঘরে চালে বা উঁচু স্থানে বসবাস করছেন।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান জানান, যমুনা নদীর পানি সারিয়াকান্দির মথুরাপাড়া পয়েন্টে বুধবার সকালে বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার ও বাঙালিতে পাঁচ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বিকালের দিকে যমুনায় পানি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। গত ১৭ জুন পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে।
উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুর রহমান জানান, কামালপুর ইউনিয়নে প্রায় সাত কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ। এসব এলাকায় বেশি নজরদারি চলছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া জানান, বন্যার পানিতে তিন উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ৭৮ হাজার ৪৪৮ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এসব উপজেলায় ২১টি নলকূপ বসানো হয়েছে। ৩০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পৌঁছানো হয়েছে। ইতোমধ্যে ৪৫ মেট্রিক টন জিআর চাল এবং ১০ লাখ টাকার শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দুর্গত এলাকায় ৩২টি মেডিক্যাল ও পাঁচটি ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দুর্গতরা আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে চান না। বন্যা মোকাবিলায় যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। কেউ কষ্ট পাবেন না।
প্রস্তুতির বিষয়ে একই রকম জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক। তিনি জানান, গত দু দিন সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন।