বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড় ও ভারি বৃষ্টিতে আধাপাকা বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসল ক্ষতির মুখে পড়েছে। অর্ধশত বিঘা আধাপাকা ধান হেলে পড়েছে। আবহাওয়ার এমন বৈরিতায় ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক।
জানা গেছে, বুধবার (২০ এপ্রিল) ভোররাতে নন্দীগ্রাম উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড় ও ভারি বৃষ্টি হয়।
আর এতে করে ধান মাটিতে পড়ে যাওয়ায় হতাশ কৃষকরা। তবে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে- ফসলের ওপর এর কোনো প্রভাব পড়বে না। এদিকে সোনালি ধানে ছেয়ে আছে সারা মাঠ। কৃষকের বুকভরা আশা। আর কদিন পরই ফসল ঘরে তুলবে। কৃষকদের সে আশায় যেন গুড়েবালি দিতে চলেছে কালবৈশাখী ঝড় ও ভারি বৃষ্টি। বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে খেতের কাঁচা,
আধাপাকা ও পাকা ধানগাছ মাটিতে পড়ে একাকার।
পৌরসভার কালিকাপুর গ্রামের কৃষক রাজু আহমেদ জানান, তিনি ১২ বিঘা জমিতে মিনিকেট ধানের আবাদ করেছেন। ধান কাটতে এখনো ৪/৫ দিন বাকি। বাতাসের কারণে ধানগাছ মাটিতে হেলে পড়েছে। ঝড় ও বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমেছে। ধানগাছ হেলে পড়ায় ফলন বিপর্যয়সহ লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে। উপজেলার কাথম গ্রামের কৃষক আরিফ হোসেন জানান, তিনি ৮ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছেন। তার মধ্যে চার বিঘার আধাপাকা ধান একেবারে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।
নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আদনান বাবু বলেন, বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসের কারণে কিছু জমিতে বোরো ধান হেলে পড়েছে। আশা করা যায় ফলনে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না।