কারিমুল হাসান লিখন: বগুড়ার ধুনটে চৈত্রের অসহনীয় গরমের মাঝে রামাজান কেন্দ্রীক মৌসুমি ভেলকিবাজীর আরেক নাম পল্লী বিদ্যুৎ। চৈত্রের গরম পড়েছে অনেক আগেই। তারই মধ্যে রমজানের শুরু থেকেই যুক্ত হয়েছে পল্লী বিদ্যুতের ভেলকিবাজি। অবশ্য এটা নতুন কিছু নয়। প্রতি বছর আরবি রামাজান মাসে বিদ্যুতের লোড শেডিং, বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়ে থাকে বলে রামাজান কেন্দ্রীক বিদ্যুতের মৌসুমী ভেলকিবাজি কথাটা বলা যেতেই পারে।
গ্রীষ্মকালে চৈত্রের রৌদ্দুর আর ওঠন ভরা গরমে অতিষ্ট ধুনট উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ। পবিত্র রমজান মাসেও ইফতার, তারাবি ও সেহরির সময় যদি বিদ্যুৎ স্বাভাবিক না থাকে তাহলে উন্মাদ বিদ্যুতের মাতাল প্রবাহ বলাটা অনুচিতও হবেনা। গরমে বিদ্যুৎহীন রোজাদারদের ভাবনার জগতে বিদ্যুতের আরেক নাম অসহ্য। ঘনঘন আসা যাওয়ার মাঝে ঘনিষ্ঠতা সৃষ্টি হলেও তিক্ততা বেড়েছে বিদ্যুতে। উপজেলার শুধু প্রান্তিক গ্রামাঞ্চলই নয় বরং শহরাঞ্চলেও চলছে স্বরনকালের ভয়াবহ বিদ্যুতের লোড শেডিং। উপজেলা জুড়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ স্বাভাবিক রাখার দাবি হাজারও রোজাদার মুসল্লিসহ সর্বস্তরের জনগনের। বিদ্যুৎ না থাকায় মসজিদের আযান শুনিনি বলে ইফতার করতে দেরি হইছে, বিদ্যুৎ না থাকায় মাইকের ডাক শুনতে পারিনি বলে শেষ রাতে খেতেও পারিনি। সময়ে তারে পাইনি বলে ঘরটা শুধু অন্ধকার। এমনই কথার সাথে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ট সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ।
পল্লী বিদ্যুতের ধুনট এরিয়া অফিস থেকে বলা হচ্ছে, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যা শুধু ধুনটে নয়, এটি জাতীয় গ্রিডে সমস্যা হওয়ায় সারাদেশে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটছে। জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ কম দিচ্ছে বিধায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা যাচ্ছেনা। তবে এ সমস্যা ক্ষনিকের জন্য। অরিচেই বিদ্যুৎ প্রবাহ সচল হওয়ার সম্ভাবনা।