বগুড়ার মহাস্থানে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রি-পেইড মিটার বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এ বিষয়ে মহাস্থান নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) কার্যালয়ে স্মারক লিপিও দিয়েছে তারা।
সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী মহাস্থানের প্রধান বাজার সড়কে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে হাজারো ভুক্তভোগী নারী-পুরুষ অংশ নেয়।
মানববন্ধন থেকে আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে মহাস্থানগড় এলাকার সকল প্রি-পেইড মিটার খুলে নিয়ে পূর্বের মিটার প্রতিস্থাপনের দাবি জানানো হয়।
বর্তমান প্রি-পেইড মিটার স্থাপনকারী সংস্থা নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)। সাধারণ বৈদ্যুতিক মিটার ছেড়ে প্রি-পেইড মিটারে আসতে চটকদার অফার দিয়ে দুর্বৃত্ত শুরু করেছে। টাকা শেষ হলে আবার রিচার্জ করলে সেটিও নিমিষেই শেষ। এই মিটার চান না মহাস্থানের সাধারণ মানুষ।
তারা বলছে, করোনাকালে এমনিতেই মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা নড়বড়ে। এ অবস্থায় প্রি-পেইড মিটারে প্রতিনিয়ত খরচ বহন করা মানুষের জন্য কষ্টকর। মানববন্ধন থেকে বক্তারা বলেন, বর্তমান অগ্নিমূল্যে বাজারে যেখানে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি, সেখানে টাকা খেকো জাদুর প্রি-পেইড মিটারে বিদ্যুৎ স্থাপন করে দিয়ে মানুষের হাতে ভিক্ষার ঝুলি তুলে দেওয়া ছাড়া কিছুই নয়।
এর কারণে মানুষ আর্থিক এবং মানসিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। এই মিটার নিয়ে দিন দিন সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ বাড়ছে। প্রি-পেইড মিটার চালুর সুফল হলো গ্রাহক ভোগান্তি ছাড়া কিছুই নয়। এতে আরও বলা হয়, প্রি-পেইড মিটারের কারণে মহাস্থানগড় গ্রাহকদের সীমাহীন দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
পরে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী নেসকো অফিস ঘেরাও করে মহাস্থান- শিবগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন। একপর্যায়ে পুলিশ এসে তাদের শান্ত করে সড়কে যানবাহন চলাচলে স্বাভাবিক করেন।
এরপর প্রি-পেইড মিটার বাতিল কার্যক্রমের দাবিতে নেসকোকে ৭দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয়। এর মধ্যে বিষয়টি আমলে না নিলে দাবির প্রতিফলন না হলে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, রায়নগর ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বেলাল মন্ডল, সমাজ সেবক আবু বক্কর সিদ্দিক, ফুল মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, খাইরুল ইসলাম পলাশ, মামুর রশীদ মামুন, পলাশ হোসেন প্রমূখ৷