আব্দুল গফুর, নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’র প্রভাবে বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে টানা দুইদিন ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ।
আর এতে করে ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে সাধারণ মানুষ সহ নিম্ন আয়ের মানুষ। (২৮মে) মঙ্গলবার নন্দীগ্রাম সদরে বিদ্যুতের দেখা মিললেও গত দুদিনেও মেলেনি গ্রামাঞ্চলের বিদ্যুতের আলোর একটু খানি ঝলকানি।
গ্রাহকদের অভিযোগ, স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে বারবার যোগাযোগ করলেও তবুও মিলছেনা একটু খানি আলোর দেখা। বেশকিছু গ্রামাঞ্চলের অটোভ্যান চালক জানান, এমনিতেই গ্রামাঞ্চলে প্রায় সময়ই বিদ্যুৎ থাকেনা, কিন্তু হঠাৎ ঝর বৃষ্টির কারণে দুইদিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় অটোভ্যানে চার্জ দিতে পারছিনা।
আমরা গরিব মানুষ ভ্যান না চালালে খাবো কি। জানা যায়, রবিবার (২৬মে) সন্ধা থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’র পূর্বাভাস দেখিয়ে গত ৪৮ ঘন্টা ধরে নন্দীগ্রাম উপজেলা বিদ্যুৎহীন রয়েছে। এছাড়া সোমবার (২৭মে) ভোররাত থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও দমকা ঝড়ের পর থেকে প্রায় সব এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার (২৮মে) নন্দীগ্রাম সদরে বিদ্যুৎ সংযোগ কিছুটা স্বাভাবিক হলেও এখনো বেশিরভাগ গ্রামাঞ্চলেই নেই বিদ্যুৎ, আর এতে করে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। গত দুদিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ থমকে দাঁড়িয়েছে গ্রামাঞ্চলের মানুষদের জীবন যাত্রা।
এ বিষযয়ে পল্লী বিদ্যুৎ নন্দীগ্রাম জোনাল অফিসের ডিজিএম শাহাদৎ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঝড়ো বাতাসের কারণে ৩৩ কেভির লাইনে গাছের ডাল হেলে পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তবে গুরত্বপূর্ণ এরিয়াগুলোতে দ্রুতই বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। গ্রামাঞ্চলগুলোতেও মেরামতের কাজ চলছে পুরোপুরি লাইন সচল করতে আমাদের কিছুটা সময় লাগবে।