বগুড়ার ধুনটে এক বছর ধরে পরিত্যাক্ত ঘর থেকে জ্ঞান বিকিরণ করে আছে আলোকবর্তিকা নামের একটি পাঠাগার। উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়ন থেকে একটু সামনে মথুরাপুর সড়কের দিকে সুন্দর মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে দেখা মিলবে পাঠাগারটি। দেখে পরিত্যাক্ত ঝুপড়ি ঘরের মত মনে হলেও মুলত এটাই জ্ঞান বিকিরণের কেন্দ্র।
দেখতে অবহেলার মত মনে হলেও মর্যাদায় অনেক উপরে। এক বছর আগে গ্রামের স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা মিলে এই পরিত্যাক্ত ঘরটিকে তাদের সামর্থ্যানুযায়ী মেরামত করে গড়ে তুলেছেন আলোকবর্তিকা পাঠাগার নামের জ্ঞান বিকিরণের বাতিঘর। একটি বছর পার হলেও পাঠাগারের নেই কোন বই রাখার ভাল তাক, সাইনবোর্ড নেই, তেমন বইও নেই পাঠাগারটিতে। তবুও গ্রামের ছেলেরা জ্ঞান অর্জনের জন্য নিয়মিত এসে পড়াশোনা করেন এখানেই। হাতে গোনা কয়েকটি বই বারবার পড়ার পর নতুন বই পাওয়ার ইচ্ছা ও ব্যাকুলতা সব সময় তাড়া করে পাঠকদের।
পাঠাগার পরিচালনা পর্ষদের অন্যতম সদস্য অনিক হাসান জানান, বহালগাছা সুপার ষ্টার ক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ পারভেজ সেতু, সেক্রেটারি সাকিব হাসান শুভ সহ কয়েক জন মিলে ২০২০ সালে আলোকবর্তিকা নামের পাঠাগার চালু করি। বহালগাছা সুপার ষ্টার ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি রাশের খান রাজু ওই পরিত্যাক্ত ঘরে পাঠাগার গড়ে তুলতে সহযোগিতা করেন। পরিত্যাক্ত ঘর থেকে শুভ সুচনা হলেও জায়গা আর বই সংকটের কারনে পাঠকদের পড়া শোনা করতে সমস্যা হচ্ছে। ব্যাক্তি কেন্দ্রীক, সামাজিক বা সরকারী সহযোগিতা পেলে পাঠাগারটি কে সুনামের সহিত সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব হবে। ভালো বসার ব্যাবস্থা না থাকলে পড়ায় যেমন ভালো মনযোগ হয়না, তেমনি ভালো পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারলে জ্ঞান বিকিরণের উন্নয়নও সম্ভব হয়না।