English

26 C
Dhaka
মঙ্গলবার, নভেম্বর ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ফসলি জমিতে পুকুর খনন, বন্ধ করলেন উপজেলা প্রশাসক

- Advertisements -

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে শ্রেণি পরিবর্তন করে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা হচ্ছে। আর পুকুর খনন করার পরে তোলা মাটি ইটভাটা সহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছিল। তবে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসলে ওই জমির মালিককে সর্তক করে বন্ধ করে দেওয়া হয় পুকুর খনন কাজ। বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস.এম হাবিবুল হাসান।

সরেজমিনে শনিবার দুপুরে পাঠানধারা গ্রামের মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, মাঠের মিঠু হোসেনের ফসলি জমিতে মাটি খনন যন্ত্র দিয়ে পুকুর খনন করা হচ্ছে। আর পুকুরের মাটি ট্রাকে করে অন্যত্র বিক্রি করা হচ্ছে। ওই কাজের দেখা শোনা করার জন্য তারেক হোসেন নামে এক সেখানে দায়িত্বে রয়েছেন। সেখানে গ্রাড়ি (ট্রাক্টর) প্রতি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে প্রায় ১০ হাজার ৫০০ হেক্টর ফসলি জমি রয়েছে।

শ্রেণিভেদে প্রায় সব জমিতেই সারা বছরই কোন না কোন ফসলের আবাদ করেন কৃষকেরা। স্থানীয় কিছু মাটি ব্যবসায়ীদের প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে তাদের ফসলি জমির মাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন। মাটি ব্যবসায়ীরা প্রতি গাড়ি (ট্রাক্টর) ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় উপজেলার ইটভাটাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করছেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাঠানধারা গ্রামের কৃষক মিঠু হোসেনের মাঠে ইরি বোর আবাদের ২২ শতক জমি রয়েছে। তিনি মাটি ব্যবসায়ীদের খপ্পরে পড়ে তার ওই জমিতে পুকুর খনন করে নিচ্ছেন। আর মাটি গুলো বাহিরে বিক্রি করে দিচ্ছেন। মাঠের এসব পুকুরের পাড়ের কারনে স্বাভাবিক পানির গতিপথ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বাধ্য হয়েই কেউ কেউ মাটি ব্যবসায়ীদের কাছে পাশের জমিতেও পুকুর খনন করে নিচ্ছেন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন