কারিমুল হাসান, ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট উপজেলার মোহনপুর-নাটাবাড়ি সড়কে জনদুর্ভোগের আরেক নাম মানাস নদী। নদীটির উপর সেতু না থাকায় বর্ষাকালে যেমন নৌকাতে তেমনি শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে ভোগান্তি পোহায় হাজারো মানুষের। দির্ঘদিন ধরে নদীটির উপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর। নদীর দুই পারে বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকার কারনে এখানে একটি সেতু হওয়া খুবই জরুরি বলে মনে করেন স্থানীয়রা। বর্ষাকালে যেমন নদী পারাপারের একমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থা নৌকা তেমনি শুষ্ক মৌসুমে স্থানীয়দের উদ্যোগে তৈরী করা হয় বাঁশের সাঁকো জনসাধারনের ভরসা। স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় বাঁশের সাঁকো তৈরী হলেও ভ্যান, রিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন পারাপার খুব কষ্টকর।
সরেজমিনে জানা যায়, নির্বাচনের সময় যেমন জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মানের স্বপ্নময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তেমনি তৃষ্ণার্ত চাতক পাখির মতো স্বপ্ন দেখে যাচ্ছেন স্থানীয় সাধারন মানুষ। মানাস নদীটির উপর একটি সেতু নির্মাণ হলে জমিতে উৎপাদিত কৃষি ফসল ঘরে তুলতে ও কেনাবেচায় সাফল্য লাভের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্যেও নিশ্চিত হবে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা।
স্থানীয়রা জানান, শুধুমাত্র সেতু না থাকার কারনে অনিশ্চয়তার মুখে অসুস্থ ব্যাক্তিদের সেবাদান। এছাড়াও রাতের বেলা চলাচলে দুর্ভোগে পড়াটা যেন এ এলাকার নিত্যসঙ্গী। মানাস নদীর উপর একটি মাত্র সেতুই বদলে দিতে পারে এই এলাকার ভাগ্যের চাকা। যে মানাস নদীতে সেতু নির্মান হলে পরিবর্তন হবে স্থানীয় অর্থনিতী, শুধুমাত্র সেতু না থাকায় আজ হাজারও মানুষের দুর্গতী।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল সাজ রিজন বলেন, সেতু নির্মাণের জন্য এলজিইডি’র প্রধান কার্যালয়ে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সেতুর কাজ শুরু করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন নানা কারণে তেমন কোন অগ্রগতী হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন।