পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী ক্যাশিয়ার পদে চাকরি করতে তিনি। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন। তৃণমূল কর্মীদের কাছে তিনি জনপ্রিয়। তাই সবার চাওয়ায় এবার নির্বাচনে অংশ নেন। ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচনের জন্য তাকে মনোনয়নও দেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। দলের মনোনয়ন পেয়ে ছেড়ে দেন চাকরি। চাকরি ছাড়ার তিনদিন পর মনোনয়ন বাতিল করে দেওয়া হয় অন্যকে!
ভুক্তভোগী ওই আওয়ামী লীগ থেকে ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর নাম কামরুন্নাহার শিমুল। তিনি জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী ক্যাশিয়ারের চাকরি করতেন। রুকিন্দীপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি।
জানা যায়, গত ৮ অক্টোবর রুকিন্দীপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পান কামরুন্নাহার শিমুল। এরপর স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অব্যাহতি দেন শিমুল। ৯ অক্টোবর থেকে জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী ক্যাশিয়ার পদ থেকে অব্যাহতির আবেদনপত্র দিলে অফিস গ্রহণ তা করেন। কিন্তু ১৩ অক্টোবর রুকিন্দীপুর ইউনিয়নে নৌকার মাঝি পরিবর্তন করা হয়। এখানে মনোনয়ন দেওয়া হয় বর্তমান চেয়ারম্যান ও আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান কবিরকে। দলীয় মনোনয়ন ও চাকরি হারিয়ে দিশেহারা শিমুল।
কামরুন্নাহার শিমুল বলেন, মনোনয়নের জন্য আমি চাকরি ছেড়ে দিয়েছি। মনোনয়ন ফেরত পেলে আমি উপকৃত হতাম। ইউনিয়নের আমার অনেক সাপোর্টার আছে। ৯৫ শতাংশ সাপোর্টার আমার। তদন্ত করে দেখলেই তা জানতে পারবে। আমাকে বাদ দেয়া কারণ হিসেবে আমার মনে হচ্ছে ওরা (মনোনয়ন বঞ্চিতরা) হয়তো কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুল বুঝিয়েছেন। আমি আওয়ামী লীগের কাজ সব সময় করেছি। কিন্তু চাকরির জন্য পদ-পদবী নেয়া হয়নি। চাকরি আগে কলেজ ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছি।