জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে হুইপ স্বপনের সহায়তায় দৃশ্যমান বেলা মাঠের বধ্যভূমিতে যাওয়া রাস্তা। বেলা মাঠের বধ্যভূমিটি আক্কেলপুর পৌর সদরের আমুট্ট গ্রামে অবস্থিত।
আক্কেলপুর আমুট্ট বেলা মাঠের বধ্যভূমিটি আক্কেলপুর ফিলিংস্টেশনের দক্ষিণ-পূর্বকেণে ও মহিলা কলেজ সংলগ্ন রেল লাইনের পশ্চিমে মাঠের মধ্যে স্বাধীনতার পর থেকেই বধ্যভূমিটি রাস্তা বিহীন ছিল। এই বধ্যভূমিতে প্রায় ১৮-২৩ জনের দেহকে গণকবর দেওয়া রয়েছে বলে মুক্তিযোদ্ধাদের ধারণা। ১৯৯০ সালে তৎকালীন ইউএনও বীরমুক্তিযোদ্ধা নূর হোসেন তালুকদার এখানে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করেছিলেন যা দূর থেকে পথচারীদের নজরে আসত। তবে রাস্তা না থাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ সাধারণ মানুষদের দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশা ছিল এই বধ্যভ’মিতে যাওয়ার একটি রাস্তার।
এবিষয়ে “প্রেসক্লাব”-এর সভাপতি শফিউল আলমের সচিত্র সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসলে সকলের প্রত্যাশা পূরণ করে আক্কেলপুরের ইউএনও এস.এম হাবিবুল হাসানের হস্তক্ষেপে মহান জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের এমপির সহায়তায় দৃশ্যমান বেলা মাঠের বধ্যভূমির রাস্তা বধ্যভ’মিতে যাওয়ার প্রায় ২’লক্ষ টাকা ব্যায়ে প্রায় ২’শ মিটার রাস্তা এখন দৃশ্যমান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম. হাবিবুল হাসান জানান,‘ নানা প্রতিবন্ধকতার পরেও স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের সহায়তায় মাননীয় হুইপের দেওয়া প্রকলপ্পে রাস্তাটি এখন দৃশ্যমান। জেলা প্রশাসক মহোদ্বয়ের প্রচেষ্টায় এখানে স্মৃতিসৌধ নির্মিত হবে। ইতিমধ্যেই জমি অধিগ্রহনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম সহ শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবে। এজন্য আমি হুইপ স্যার ও জেলা প্রশাসক স্যারের নিকট আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।’