বগুড়ার শিবগঞ্জে বন বিভাগের অবহেলায় অযত্নে বৃষ্টিতে পঁচে ও ইউপোকা খেয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার কাঠ। রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
জানা যায়, ২০২০ সালে আম্পান ঝড়ে আলিয়ার হাট হতে ভাইয়েরপুকুর পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারে প্রায় ১৫০টি গাছ ভেঙ্গে পড়ে।
গাছগুলো রাস্তায় ভেঙ্গে পড়ার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। জন দুর্ভোগ কমাতে নির্বাহী কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশে এলজিএডি ও বন বিভাগ শিবগঞ্জ এর সহায়তায় আটমূল ইউপি চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন ভেঙ্গে পড়া গাছ গুলোকে পরিষদ কার্যালয়ে সংরক্ষণ করেন। সংরক্ষনের মধ্যে ছিল কাঠ ২৮০ টুকরা এবং জালানী ৬শত ঘনফুট। যাহার বাজার মূল্য ৬-৭ লক্ষ টাকা। সেগুলো টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রয় করার কথা থাকলেও বন বিভাগ কোন গুরুত্ব না দেওয়ায় ইউপোকা খেয়ে এবং বৃষ্টিতে পঁচে কাঠগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পরিষদ চত্বরে খোলা আকাশের নিচে কাঠগুলো পড়ে আছে। সেগুলোর উপর দিয়ে কোন প্রকার টিনের সেটও নেই। এই কারণে বৃষ্টির পানিতে পঁচে যাচ্ছে গাছের গুল। আটমূল ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নান বলেন, এই গাছের গুলগুলোকে অনেক আগেই বিক্রি করা উচিত ছিল। বন বিভাগের উদাসীনতায় এই গাছের গুল গুলো নষ্ট হওয়ায় শুধু আমাদের ক্ষতি না দেশের ও রাষ্ট্রের ক্ষতি।
আটমূল ইউপি চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ঝড়ে পড়া গাছ গুলোকে ২০-২৫ শ্রমিক ও গ্রাম পুলিশের সহায়তায় রাস্তা থেকে গাছ গুলো সরাতে সময় লাগে ১০-১৫ দিন। এতে আমার ব্যক্তিগত খরচ হয় ৬৭ হাজার টাকা। আমি গাছগুলো বিক্রয়ের জন্য দুই বার আবেদন করলেও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন কাঠ গুলো থাকার কারণে করোনাকালীন সময়ে পরিষদে জায়গা স্বল্পতার কারণে সেবা নিতে আসা জনসাধারনকে সেবা দিতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তিনি আরো বলেন, কাঠগুলোকে আগে বিক্রি করা যেত ৬-৭ লক্ষ টাকা নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে এই কাঠ এখন কেউ ৫০ হাজার টাকায় নিতে চাইবে না।
উপজেলা বন বিভাগ কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আলী বলেন, বগুড়া ও জয়পুর হাট জেলায় সংরক্ষণ কৃত কাঠগুলো এক সাথে বিক্রয় করা হয়। তিনি আরো বলেন, নিয়মানুগিক ভাবে টেন্ডার দিতে একটু সময় লাগে এর মধ্যে কাঠগুলো নষ্ট হয়ে যায় তাতে কিছু করার নেই। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম বলেন, সবে মাত্র যোগদান করেছি, আমি আগামী টেন্ডারের মাধ্যমে গাছগুলো বিক্রয়ের জন্য চেষ্টা করছি।