বগুড়া শহরের সেউজগাড়ী এলাকায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৬ জন নিহত ও ৪০ জন আহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসক। বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) পিএম ইমরুল কায়েসকে প্রধান করে গঠিত কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে রথের চূড়া ৩২ ফুট উঁচু করা নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। আয়োজকদের উদাসীনতার অভিযোগ করা হয়েছে। সোমবার (৮ জুলাই) বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন তিনি। আয়োজকদের তার কাছে উদাসীন মনে হয়েছে।
তবে দুর্ঘটনার পর রথের চূড়ার উচ্চতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার ঘটনাকে দুঃখজনক বলছেন ইসকন বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি খরাজিত কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী। তিনি বলেন, প্রতি বছর রথ উৎসবের আগে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ছাড়াও পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। সেখানে কখনই রথের চূড়ার উচ্চতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলেননি। দুর্ঘটনা ঘটার পর সবাই প্রশ্ন তুলছেন, এটি দুঃখজনক!
ইসকন বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি আরও বলেন, ‘চূড়াটি এমনভাবে তৈরি যে, নিচে হাতল ঘুরিয়ে উঁচু–নিচু করা যায়। রথের চূড়ায় বিদ্যুতের তার লেগে যাওয়ার পর রথের ওপরে বসে থাকা আমিসহ কমপক্ষে ২৫ জন অলৌকিক ভাবে প্রাণে বেঁচে যাই!’