ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে আন্দোলনের মুখে বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের চিফ ইনস্ট্রাক্টর হাফিজুর রহমানকে তাৎক্ষণিক বদলি (স্ট্যান্ড রিলিজ) করা হয়েছে। আগামী ৫ জুনের মধ্য তাঁকে বদলীকৃত কর্মস্থল পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে যোগদান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের উপসচিব রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বদলির আদেশ জারি করা হয়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রনিকস বিভাগের সপ্তম পর্বের এক ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় যৌন হয়রানি করে আসছিলেন চিফ ইনস্ট্রাক্টর হাফিজুর রহমান।
বিষয়টি অন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে জানাজানি হলে লিখিতভাবে তা অধ্যক্ষকে জানানো হয়। কিন্তু অভিযোগ পেয়েও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরের পর শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন শুরু করেন। পরে অধ্যক্ষ গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা ফিরে যান।
অভিযুক্ত চিফ ইনস্ট্রাক্টর হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমি ক্লাস নিই প্রথম শিফটে, আর আন্দোলন করছে দ্বিতীয় শিফটের শিক্ষার্থীরা। কিছু শিক্ষক তাদের ইন্ধন দিচ্ছে। ‘ তাঁর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি।
বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবু সাইম জাহান বলেন, অভিযোগটি বেশ কিছুদিন আগের। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেয়ে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় তদন্ত প্রতিবেদনের ফলাফল শিক্ষার্থীদের জানানো হয়নি। তারা না জেনে আন্দোলন শুরু করলে তাদের বুঝিয়ে শান্ত করা হয়েছে।