বগুড়ায় ‘ফ্রি ফায়ার’ খেলতে না দেওয়ায় উম্মে হাবিবা বর্ষা (১২) নামে এক স্কুলছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বগুড়ার শাজাহানপুরে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সকালে সেলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আত্মহত্যার আগে মেয়েটি একটি চিরকুট লিখে গেছে। তাতে লেখা, ‘বাবা-মা আমাকে ফ্রি ফায়ার গেম খেলতে দিত না। বকাঝকা করতো। তাই আমি চলে গেলাম। আমাকে আর বকাঝকা করতে হবে না।’
বর্ষা বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার রামকৃঞ্চপুর গ্রামের সার্জেন্ট রওশন হাবিবের মেয়ে। সে বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
নিহত বর্ষার বাবা ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে চাকরির সুবাদে ঢাকাতেই থাকেন। শাজাহানপুর উপজেলার বি-ব্লক রহিমাবাদ গ্রামে ভাড়া বাসায় মা তার দুই মেয়েকে নিয়ে বসবাস করেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফয়সাল মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, সোমবার রাতে খেলার জন্য বর্ষা তার মায়ের কাছে মোবাইল ফোন চায়। কিন্তু মা মোবাইল না দেওয়ায় নিজের শোয়ার ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়ে। মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে তার মা ডাকতে গিয়ে দরজা লাগানো দেখতে পান। অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় আশপাশের লোকজন এসে প্রথমে জানালা ভেঙে বর্ষাকে সেলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে থাকতে দেখেন। পরে জানালা দিয়ে দরজার ছিটকি খুলে মরদেহ নামানো হয়।
বগুড়ার শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আত্মহত্যার আগে মেয়েটি চিরকুট লিখে গেছে। প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।